কলেজের ইতিহাস
আমলা সরকারি কলেজ প্রতিষ্ঠার ইতিহাস
ড. মো: নাজিম সুলতান
সহযোগী অধ্যাপক
ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি
১
মধ্যযুগে ভারতবর্ষের ইতিহাসে জমিদারী প্রথা একটি বহুল আলোচিত ব্যবস্থা। মানব সভ্যতার ক্রমবিকাশ ও ইতিহাসের বিবর্তনে জমিদারি প্রথা ইতিবাচক ও নেতিবাচক ভ‚মিকা রেখেছে। সমাজ বিবর্তনের ধারাবাহিকতায় সেই জমিদারি প্রথা বা ব্যবস্থা বিলুপ্ত হলেও তাদের ঐতিহ্যমন্ডিত বাড়ির বা প্রাসাদের নির্দশন মেলে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে। সেই জমিদারদের অনেকের জীবনকাহিনী এখনও লোকের মুখে মুখে ফেরে রুপকথার গল্প হিসেবে।
জমিদার শব্দটি ফারসি। এটি দুইভাগে বিভক্ত যথা- জামিন (জমি) ও দাস্তান (ধারণ বা মালিকানা) এর বাংলা অপভ্রংশের সাথে দার সংযোগে জমিদার শব্দের উৎপত্তি। সাধারণভাবে জমিদার শব্দের অর্থ ভ‚মির উপর যার অধিকার। ম‚লতঃ মুঘল আমল থেকে এই শব্দটি ব্যবহার হয়ে আসছে। মুঘলগণ তৎকালে প্রচলিত ভ‚মি ব্যবস্থাকে তাদের আর্থ-রাজনৈতিক স্বার্থ পূরণের জন্য একটি নতুন ব্যবস্থায় রূপান্তর করে। এ সময়ে জমির মালিক রায়ত বা চাষীদের কাছ থেকে খাজনা আদায় করার জন্য এ পদবি সৃষ্টি করা হয়। জমিদারগণ ছিলেন সরকার ও চাষীদের মধ্যস্থা পক্ষ। মুঘলদের আমলে গড়ে ওঠা জমিদারী বৈশিষ্ট্য সসব এলাকায় একই রকম ছিল না। ভারতের অন্যান্য অঞ্চলে রাজপক্ষ সরাসরি জমি নিয়ন্ত্রণ করলেও বাংলা, বিহার, উড়িষ্যাসহ অনেক অঞ্চলে সরাসরি নিয়ন্ত্রণ ছিল না। এর অন্যতম কারণ ছিল ভৌগোলিক ও জলবায়ুগত বৈশিষ্ট্য। বাংলায় জমি ছিল মর্যাদার প্রতীক এবং সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রভাব প্রতিপত্তির একটি উৎস। এ কারণে উচ্চভিলাষি ব্যক্তিদের জন্য জমির উপর নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি ছিল নানা ধরনের সম্ভাবনার ধারক ও বাহক। স্যার নবাব খাজা সলিমুল্লাহ নওয়াব উপাধিধারী বৃটিশ ভারতের অন্যতম বৃহত্তম জমিদার ছিলেন। ১৭৯৩ সালে লর্ড কর্ণওয়ালিস চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত আইনের মাধ্যমে সমগ্র বাংলা, বিহার, উড়িষ্যা এবং বারাণসী প্রদেশে চালু করেন।
চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত প্রবর্তনের আগে পর্যন্ত জমিদারদের মৌলিক অধিকার ও দায়িত্ব-কর্তব্য অপরিবর্তিত থাকলেও শাসক অভিজাত মহলের চাহিদার উপযোগী করার জন্য ভ‚মি নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার কাঠামোতে মাঝে মাঝে কিছু রদবদল করা হয়। এভাবেই টোডরমলের বন্দোবস্ত (১৫৮২ খ্রি.) যা দ‚রবর্তী বাংলা সুবাহ একদিন জমিদারি পদ্ধতির সূচনা করেছিল, তা ১৬৫৮ সাল পর্যন্ত বজায় থাকে। এ সময়ে বাংলার সুবাহদার শাহ সুজার (১৬৫৭ খ্রি.) রাজস্ব বন্দোবস্তের মাধ্যমে জমিদারি ব্যবস্থায় কিছুটা শক্তির সঞ্চার হয়। এরপর ১৭২২ সালে সুবাহদার মুর্শিদ কুলীর মালজমিনি (ভ‚মি রাজস্ব) পদ্ধতি প্রচলিত হয়। সরকারি রাজস্ব সর্বাধিক করা ও রাজস্বের নিয়মিত পরিশোধ নিশ্চিত করার জন্য মুর্শিদকুলী বাংলা প্রদেশকে পূর্ববর্তী চৌত্রিশটি সরকারের পরিবর্তে তেরোটি চাকলায় (প্রশাসনিক বিভাগ) ভাগ করেন। আর সে-সঙ্গে অপেক্ষাকৃত ক্ষুদ্র জমিদারদের চাকলাদারের এখতিয়ারাধীন করেন। এ চাকলাদারগণ মনোনীত হন বৃহৎ জমিদারবর্গ থেকে আর তারা জমির মালিক হিসেবে নয় অধস্তনদের তত্ত¡াবধায়ক কর্মকর্তা হিসেবে অধিষ্ঠিত হন। তাদের কাজ ছিল দক্ষতার সঙ্গে রাজস্বের আদায় ও সংগ্রহ নিশ্চিত করা। তবে প্রধান জমিদারগণকে রাজস্বের রাজকীয় অংশের জন্য খালসা বা রাষ্ট্রীয় কোষাগারের কাছে জবাবদিহি করার ফলে তাদের সনাতন ক্ষমতা ও মর্যাদাগত অবস্থান আরও বৃদ্ধি পায়। এ ছাড়াও প্রতিভাবান জমিদারগণকে বিভিন্ন সরকারি পদে নিযুক্তির যে প্রস্তাব দেওয়া হয় তার ফলে রাজদরবারে তাদের অবস্থানগত মর্যাদা বৃদ্ধি ও সে-সঙ্গে তাদের নিজ স্বার্থকে আরও এগিয়ে নেবার সম্ভাবনা অনেক দূর প্রসারিত হয়। রাজস্ব ব্যবস্থাপকের ভ‚মিকা থেকে জমিদারে রূপান্তরিত হওয়ার এ প্রক্রিয়া আঠারো শতকের মাঝামাঝি সম্পূর্ণ হয়।
প্রাক্-আধুনিক ভারতে বেসামরিক প্রশাসন প্রধানত রাজস্ব সংক্রান্ত বিষয়ের ব্যবস্থাপনাকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হতো। সে কারণে জমি প্রদানের সঙ্গে বেশকিছু প্রশাসনিক দায়িত্বও অর্পণ করা হতো। এ দায়-দায়িত্বের আওতায় জমিদারগণকে রাজস্ব নির্ধারণের বিশদ বিবরণ প্রণয়ন, চাষিদের কাছ থেকে খাজনা আদায় এবং তা রাষ্ট্রীয় কর্তৃপক্ষের কাছে অর্পণ করতে হতো। এ ছাড়াও স্থানীয় এলাকায় শান্তি রক্ষার কাজে রাজকীয় কর্মকর্তাদেরকে সাহায্য-সহায়তা এবং প্রয়োাজনে সেনা সরবরাহ করতে তারা বাধ্য ছিলেন।
বিশ শতকে ভারতীয় জাতীয়তাবাদ, বিক্ষোভের রাজনীতি, প্রথম মুসলিম নির্বাচকমন্ডলী, বিভাজনপন্থি রাজনীতি, কম্যুনিস্ট ভাবধারার অনুপ্রবেশ প্রভৃতি ঘটনা দ্বারা ব্রিটিশ রাজের অনুগত ও রাজনৈতিকভাবে মধ্যপন্থি জমিদার শ্রেণির সামাজিক কর্তৃত্ব গুরুতরভাবে হ্রাস পায়। ১৯৩৭ সালে অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী নেতৃস্থানীয় সকল রাজনৈতিক দল অঙ্গীকার করে যে, তারা নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় গেলে জমিদারি প্রথা বিলোপ করা হবে। সে অনুসারে মুসলিম লীগ ও কৃষক প্রজা পার্টি এর কোয়ালিশন সরকার জমিদারি প্রথা সম্পর্কে রিপোর্ট দানের জন্য একটি কমিশন গঠন করলে কমিশন চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত বাতিলের সুপারিশ করে। কিন্তু যুদ্ধ পরিস্থিতি, সা¤প্রদায়িক বিরোধ এবং দেশ বিভাগের রাজনীতির ডামাডোলে সরকার ফ্লাউড কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন থেকে বিরত থাকে। শেষ পর্যন্ত ১৯৫০ সালে ইস্ট বেঙ্গল স্টেট অ্যাকুইজিশন অ্যাক্ট-এর অধীনে জমিদারি প্রথার বিলোপ ঘটে।
২
১৭৫৭ সালে পলাশীর আ¤্রকাননের প্রহসনের যুদ্ধে নবাব সিরাজ-উদ-দৌলার এবং ১৭৬৫ সালে বক্সারের যুদ্ধে মীর কাসিমের পরাজয়ের মাধ্যমে বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যার শাসনক্ষমতা ইংরেজদের হাতে চলে যায়। ১৭৬৫ সালের ১২ আগস্ট মুঘল স¤্রাট শাহ আলমের সাথে এলাহাবাদ চুক্তি’র মাধ্যমে কারা, এলাহাবাদ জেলা এবং ১৭৬৬ সালে ইংরেজ ইস্ট ইÐিয়া কোম্পানি লর্র্র্ড ক্লাইভ এর মাধ্যমে বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যার দেওয়ানি লাভ করে। লর্ড ক্লাইভ এদেশের বাস্তব পরিস্থিাতি পর্যবেক্ষণ করে রাজস্ব প্রশাসন ও দেশ রক্ষার ভার কোম্পানির হাতে রেখে প্রশাসন ও বিচার বিভাগের দায়িত্ব নবাবের হাতে অর্পন করেন। ইতিহাসে এটিই দ্বৈত শাসন নামে পরিচিত। ১৭৭২ সালে ওয়ারেন হেস্টিংস এই দ্বৈত শাসন ব্যবস্থা বাতিল করে ইংরেজদের হাতে সমস্ত ক্ষমতা গ্রহণ করেন।
এ সময় বাংলার বৃহৎ জমিদার এর মধ্যে অন্যতম ছিল আমলা-সদরপুর। ১৭৫৭ সালের পরবর্তী সময়ে জমিদার রামানন্দ সিংহ রায় (মর্শিদাবাদ নবাবের রাজ কর্মচারী) তৎকালীন কাশীমনগর ও ৩১৭ রাজাপুর এলাকা নিয়ে তার জমিদারী শাসন ব্যবস্থাা পরিচালনা করতেন। পরবর্তিতে গোয়ালন্দ ঘাট থেকে পদ্মার লালগোলা ঘাট পর্যন্ত তিনি জমিদারী লাভ করেন। রামানন্দ সিংহ রায় আলমডাঙ্গা, মিরপুর, ভেড়ামারা, কুমারখালি নিয়ে বিশাল এ অঞ্চলের অত্যন্ত প্রভাবশালী ও পরাক্রমশালী জমিদার-এ পরিণত হন। কথিত আছে- তিনি বলতেন উপরে এক ভগবান আছে আর নীচে আমি। তাঁর বাড়ির সামনে দিয়ে জুতা-সেন্ডেল পায়ে দিয়ে, ছাতা মাথায় দিয়ে কিংবা সাইকেল চালিয়ে যাওয়ার হুকুম ছিল না।
জমিদার রামানন্দ সিংহ রায়ের কোনো ছেলে সন্তান ছিল না, প্যারী সুন্দরী দেবী ও শ্যামা সুন্দরী দেবী (ব্রজ সুন্দরী) নামে দুটি কন্যা সন্তান ছিল। তিনি তাঁর কোনো পুত্র সন্তান না থাকায় জমিদারী দুই কন্যার মাঝে ভাগ করে দেন। প্যারী সুন্দরী ছোটবলো থেকেই বাবার জমিদারী দেখ-ভাল করতেন। বাবার মৃত্যুর পর আমলা সদরপুর এর জমিদারী’র দায়িত্বভার গ্রহণ করেন প্যারী সুন্দরী। অল্প বয়সে প্যারী সুন্দরীর সাথে কৃষ্ণনাথ সিংহ নামক এক ব্যক্তির সাথে বিবাহ হয় কিন্তু তিনি নিঃসন্তান অবস্থায় বিধবা হন। তিনি তৎকালীন সময়ের বিদুষী এবং প্রজাবৎসল জমিদার ছিলেন। ইতিহাস থেকে জানা যায়, নাটোরের রানি ভবানি রায়ের সাথে তা যোগাযোগ ছিল। সে সময় উত্তরবঙ্গের কৃষক বিদ্রোহ, ফকির মজনু শাহ’র বিদ্রোহ তাকে আলোড়িত করে।
তৎকালীন নদীয়া জেলার মাটি নীল চাষের জন্য উপযুক্ত হওয়ায় ইংরেজ নীলকরেরা এই জেলার বেশ কয়েকটি স্থানে কুঠি স্থাপন করে এ অঞ্চলের কৃষকদের নীল চাষে বাধ্য করতে থাকে। এতদ্বঞ্চলের শালঘর মধুয়া কুঠির নীলকর টমাস আইভান কেনি এ অঞ্চলের চাষীদের অত্যাচার-নির্যাতনের মাধ্যমে নীল চাষে বাধ্য করেন। কেনি সাহেবের অত্যাচারে প্রজারা অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে। প্রজারা প্রতিকার চেয়ে প্যারী সুন্দরীর কাছে আরজি জানাতে থাকে। প্রজাবৎসল প্যারী সুন্দরী বিশাল লাঠিয়াল বাহিনী গড়ে তোলেন। তিনি লাঠিয়াল বাহিনী ও সাধারণ প্রজাদের নিয়ে শালঘর ম্যধুয়া কুঠি আক্রমণ করেন। কেনি সাহেব পালিয়ে যান এবং তৎকালিন দারোগা মহাম্মদ বঙ প্রজাদের হতে খুন হন। প্যারী সুন্দরী কুঠি লুট করেন। কুঠি লুট ও দারোগা হত্যার প্রহসনের বিচারের মাধ্যমে কোম্পানি তার জমিদারী অধিগ্রহণ করে। দীর্ঘদিন মামলার লড়ে প্যারী সুন্দরী জয়লাভ করলেও ঋণে জর্জরিত হয়ে পড়েন। বাধ্য হয়ে কিছু জমিদারী পত্তনী দেন এবং অবশিষ্ট তার পালক পুত্র তারিনীচরণ সিংহ কে দেন। ১৮৬০ সালে প্রজাদরদী, স্বদেশপ্রাণ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনায় লালিত অসম সাহসী প্যারী সুন্দরী দেবীর মৃত্যু হয়। সদরপুরে অবস্থিত তাঁর প্রাসাদের কিছুই অবশিষ্ট নেই। বাংলার ইতিহাসে নীলকরদের বিরুদ্ধে আন্দোলন বা নীল বিদ্রোহের জন্য প্যারী সুন্দরী এক বিশেষ স্থান অধিকার করে আছেন।
৩
আমলা সরকারি কলেজ কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর উপজেলার একটি ঐতিহ্যবাহী সরকারি কলেজ। এ কলেজটি মিরপুর উপজেলার আমলা ইউনিয়নে অবস্থিত। এটি ১৯৭২ সালের ১ জুলাই উত্তর-দক্ষিণবঙ্গের বিখ্যাত কৃষক আন্দোলনের নেতা, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ মারফত আলি স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা ও সাধারণ জনগণ নিয়ে এ অঞ্চলের শিক্ষার বিস্তারের লক্ষ্যে জমিদারী বাড়ি এবং আমলা সদরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের জমির কিছু অংশ নিয়ে এই কলেজটি স্থাপন করেন। পরবর্তিতে, আমলা হাইস্কুল মাঠে অনুষ্ঠিত সমাবেশে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদ এর এক ঘোষণার মাধ্যমে ১৯৮৭ সালে ৩ নভেম্বর কলেজটিকে জাতীয়করণ করা হয়।
৬.৩ একর জমিতে প্রতিষ্ঠিত এ কলেজটি শুধুমাত্র আমলা’র জমিদারী’র-ই নয় বাংলার জমিদারী ইতিহাসের একটি বিশাল অংশ। জমিদার রামানন্দ সিংহ রায়ের প্রাসাদ যেটি ভগবান নিবাস নামে পরিচিত তা কলেজের ছাত্রাবাস হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। জমিদার কন্যা শ্যামা সুন্দরী দেবীর ৩ ছেলে ছিল যথা: সুরেন্দ্র নারায়ন সিংহ, সমোরেন্দ্র নারায়ণ সিংহ, ব্রজেন্দ্র নারায়ণ সিংহ বা পাল (বিপিএিল)। ব্রজেন্দ্র নারায়ণ সিংহ’র প্রাসাদটি বর্তমানে কলেজের প্রশাসনিক ভবন হিসেবে এবং সুরেন্দ্র নারায়ন সিংহ’র বাসভবনটি শিক্ষক-কর্মকর্তাদের ডরমিটরি হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। সমোরেন্দ্র নারায়ণ সিংহ’র বাসভবনটি কালের বিবর্তনে ধ্বংস হয়ে গেছে। তার কিছু অবশিষ্টাংশ দেখা যায়। জমিদার রামানন্দ সিংহ রায় তাঁর দুই কন্যার জন্য দুটি দিঘী খনন করেছিলেন এবং দুটোতেই শান বাঁধানো ঘাট ছিল। কলেজের বিজ্ঞান ভবনের দক্ষিণাংশে প্যারী সুন্দরী দেবীর ঘাটটি একটু দেখা গেলেও শ্যামা সুন্দরীর ঘাটটি সম্পূর্ণ ভেঙে গেছে। কলেজ ক্যাম্পাসের দিকে তাকালেই মনে হয় আমরা সেই জমিদারী শাসন ব্যবস্থার মধ্যে আজও আছি। সে সময়কার দৃষ্টিনন্দন ভবন শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মনে উপর গভীর প্রভাব বিস্তার করে আছে। আমলা সরকারি কলেজ যতদিন থাকবে, আমলার জমিদারীর ইতিহাসও বেঁচে থাকবে কালের সাক্ষী হয়ে।
তথ্য সূত্র:
১। বাংলা পিডিয়া, bn.banglapedia.org
2| “Akbar’s Land Revenue System”. International Journal of Engineering, Management, Humanities and Social Sciences Paradigm.
3| B.B Misra, The Central Administration of East India company, New Delhi Press.
৪। শিরিন আখতার, সুবে বাংলার জমিদার ও জমিদারী (১৭০৭-৭২), ঢাকা: দিব্য প্রকাশ, ২০১৮।
৫। কে. এম. রাইছউদ্দিন খান, বাংলাদেশ ইতিহাস পরিক্রমা, ঢাকা: খান পাবলিকেশন্স।
৬। কুমুদনাথ মল্লিক, বিলু কবীর (সম্পা.), নদীয়া কাহিনী, ঢাকা: বইপত্র।
৭। কমল চৌধুরী, বাংলার জমিদার ও রায়তের কথা, কলকাতা: দ্বেজ পাবলিশিং।
৮। নীলকর বিরোধী আন্দোলনের নেত্রী, ৩০ মার্চ ২০১৫ তারিখে প্রকাশিত দৈনিক সংগ্রামের সম্পাদকীয়।
৯। মুজাফফর আহমদ, কৃষক সমস্যা, ঢাকা: ন্যাশনাল বুক এজেন্সী।
১০। সূচনা, আমলা সরকারি কলেজ থেকে প্রকাশিত ম্যাগাজিন ২০১৯।
2| “Akbar’s Land Revenue System”. International Journal of Engineering, Management, Humanities and Social Sciences Paradigm.
3| B.B Misra, The Central Administration of East India company, New Delhi Press.
৪। শিরিন আখতার, সুবে বাংলার জমিদার ও জমিদারী (১৭০৭-৭২), ঢাকা: দিব্য প্রকাশ, ২০১৮।
৫। কে. এম. রাইছউদ্দিন খান, বাংলাদেশ ইতিহাস পরিক্রমা, ঢাকা: খান পাবলিকেশন্স।
৬। কুমুদনাথ মল্লিক, বিলু কবীর (সম্পা.), নদীয়া কাহিনী, ঢাকা: বইপত্র।
৭। কমল চৌধুরী, বাংলার জমিদার ও রায়তের কথা, কলকাতা: দ্বেজ পাবলিশিং।
৮। নীলকর বিরোধী আন্দোলনের নেত্রী, ৩০ মার্চ ২০১৫ তারিখে প্রকাশিত দৈনিক সংগ্রামের সম্পাদকীয়।
৯। মুজাফফর আহমদ, কৃষক সমস্যা, ঢাকা: ন্যাশনাল বুক এজেন্সী।
১০। সূচনা, আমলা সরকারি কলেজ থেকে প্রকাশিত ম্যাগাজিন ২০১৯।